কম্পিউটার প্রশিক্ষণ

কম্পিউটার প্রশিক্ষণ

বর্তমান যুগ হলো কম্পিউটারের যুগ। এই যুগে কম্পিউটার ছাড়া চলেই না বললেই চলে। আপনি যেখানেই যান, যেই অফিসেই যান না কেন সেখানেই কম্পিউটার আছে, কম্পিউটারের কাজ আছে। আপনি যেকোনো প্রতিষ্ঠানে যান সেখানে অফিসিয়াল থেকে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কম্পিউটার অপরিহার্য  বিষয়। এমনকি আপনি যে আপনার নিত্য-প্রয়োজনীয় মুদি মালামাল কিনতে যান সেখানে ও হয়তো দেখতে পাবেন একটা কম্পিউটার আছে ব্যবহার করার জন্য। এজন্য বলা যায় কম্পিউটার জানা থাকা বর্তমান যুগের সব লোকেরই জরুরী।

যে কাজ কম্পিউটার-নির্ভর নয়, সেখানেও কম্পিউটার জানা একটা অতিরিক্ত যোগ্যতা বলে বিবেচিত হয়।  কম্পিউটারের ব্যবহার একজন মানুষের মূল্যয়ন আরো বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ। 

আপনি ছাত্র হিসেবে যা শিখতে হবে, Microsoft word, excel, power point , কম্পিউটার এ windows দেয়া , বিভিন্ন সমস্যা নিজে নিজে সমাধান করার পদ্ধতি , এই জন্য আপনাকে কম্পিউটার এর প্রত্যেক টা অংশ এবং এর কাজ সম্পর্কে জানতে হবে, বিভন্ন software , apps এর কাজ কি, এগুলোর কি কাজে লাগে ইত্যাদি ।

বেসিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণে যেসব বিষয় থাকেঃ

  • পাওয়ার অন/অফ।
  • মাইক্রোসফট ওয়ার্ড/এক্সেল ইত্যাদি।
  • উইন্ডোজ ইনস্টলেশন।
  • তারের সংযোগ / বিচ্ছিন্নকরণ (পাওয়ার কেবল, কীবোর্ড মাউস, অডিও ইন্টারফেস)
  • হার্ডওয়্যার বিচ্ছিন্নকরণ /সমাবেশ।
  • হার্ডওয়্যার বিভিন্ন অংশ চিহ্নিতকরণ।
  • gmail এ একটা মেইল কিভাবে পাঠাতে হয়,
  • microsoft word ব্যবহার করে সুন্দর করে একটা document বানানো।
  • নিজের CV বানাতে পারা, সেটা কিভাবে PDF এ কনভার্ট করতে হয়।
  • microsoft powerpoint এ দৃষ্টিননন্দন একটা প্রেজেন্টেশন স্লাইড তৈরি করুন, কর্পোরেট স্ট্যান্ডার্ড।

কম্পিউটারে ছোটখাট সমস্যাতেই যেন আতংকিত না হতে হয়, হার্ডওয়্যার সম্পর্কে  কিছু ধারণা প্রদান করা যেন অন্তত সমস্যা বুঝতে পারেন। ডেস্কটপ হলে নিজে নিজে যন্ত্রাংশ সাবধানে নিয়মমত পরিষ্কার রাখা। কম্পিউটার হ্যাং হয়ে গেলে task manager এ কোন task টা কেমন resource নিচ্ছে, চেক করতে পারা। বেশি resource নিলে রানিং কাজ বিবেচনায় রিস্টার্ট করা। এসব দেখে রাখতে পারা।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ম্যালওয়্যার বুঝতে শিখা, উলটাপালটা সাইট থেকে সফটওয়্যার না ডাউনলোড করে, ভরসাযোগ্য কিছু সফটওয়্যার সাইট জেনে রাখা, যেন সামান্য সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে অন্যের হেল্প না নিতে হয়। কোন সফটওয়্যার কিভাবে রিমুভ দিতে হয় শিখানো।

কিভাবে নিজে নিজে windows সেটআপ দিতে হয়, BIOS এ কিভাবে কোন custom settings করা যায়, কোনটার কাজ কি।

হার্ডডিস্ক মেমরি কিভাবে পার্টিশন করতে হয়, ড্রাইভে ভাগ করতে হয়, সেগুলোর সিকিউরিটি দিতে হয়, তা শেখা।

run নামক সফটওয়্যারে temp, cmd, tree এর কাজ কি, এসব বেসিক জিনিস দেখতে পারা বাকিগুলো শেখা হয়ে গেলে।

সর্বোপরি নিজে নিজে এ সার্চ দিতে পারা।

এইগুলো সবার জানা উচিত, এইগুলো জানতে কোনো কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের স্বরণাপন্ন হতে হয়না।

আর একজন প্রাথমিক শিক্ষার্থীর যেসব জিনিস গুরুত্বপুর্ন তা হলো- আরবী, ইংরেজী ও বাংলা টাইপিং, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল ইত্যাদী।

টাইপিংঃ

মাদ্রাসা হিসেবে আরবী টাইপিং আমাদের একান্ত প্রয়োজনীয়। প্রশ্ন, উত্তর, সনদপত্র, প্রত্তায়ণপত্র, রুটিনসহ যাবতীয় মাদরাসা কেন্দ্রীক বিষয়গুলোর জন্য আরবী জরুরী।

ইংরেজী এর কথা তো না বললেই চলে। কারণ কম্পিউটারের সব কিছুই ইংরেজীতে। পুরো পৃথিবী চলে ইংরেজীর উপর। আর একজন বাংলাদেশী ও বাংলা ভাষাভাষী হিসেবে আপনার বাংলা টাইপিং ও জানা থাকতে হবে। বাংলা টাইপিং এর দুইটা সফটওয়্যার আছে একটা হলো বিজয় আর আরেকটা হলো ইউনিকোড/অভ্র। বাংলাদেশী প্রায় বেশিরভাগ এমনকি সরকারী সব অফিসগুলোতেই বাংলা টাইপিং এর জন্য বিজয় ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন সরকারী চাকুরীতে একজন কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে আপনাকে চাকুরীর আবেদন করতে হলে ও আপনার বিজয় বাংলা টাইপিং স্পিড ২৫ শব্দের বেশি হতে হবে প্রতি মিনিটে।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ডঃ

কম্পিউটার শেখার প্রথম পর্যায় হলো মাইক্রোসফট ওয়ার্ড। কারণ কম্পিউটারে আপনাকে কিছু জানা না থাকলে ও ন্যূনতম লেখালেখি তো জানতে হবে। আর লেখালেখির জন্যই দরকার মাইক্রোসফট ওয়ার্ড। অফিস আদালত থেকে শুরু করেই সব জায়গায়ই কম্পিউটারে টুকটাক লেখালেখির প্রয়োজন পড়ে। আর এসবের জন্যই আপনার প্রয়োজন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড নামক সফটওয়্যারের জ্ঞান।

মাইক্রোসফট এক্সেলঃ

আমরা সবাই শুনেছি যে কম্পিউটার হলো গণনাযন্ত্র। কিন্তু কখনো কম্পিউটারের গণনা করার কাজটা দেখি নাই। শুনেছি যে কম্পিউটার বিশাল জটিল জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান মুহূর্তের মধ্যেই করে দিতে পারে। যেটা মাইক্রোসফট এক্সেল সফটওয়্যার শিখার পর বুঝতে পারবেন। যেমন- সাধারণ হিসাব নিকাশ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট তৈরি, বিদ্যুৎ বিল হিসাব নিকাশ, বিভিন্ন কোম্পানীর বিভিন্ন ক্যাটাগরীর কর্মচারীদের বেতন ভাতা হিসাব, বিভিন্ন কোম্পানীর বিভিন্ন প্রোডাক্টের হিসাব নিকাশ এগুলো এক মূহূর্তের মধ্যেই করে ফেলা সম্ভব। এছাড়াও অন্যান্য জটিল হিসাব নিকাশ করে ফেলা সম্ভব।

 

arrow_upward