প্রারম্ভিক কথা
ভূমিকা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের জন্য যিনি গোটা মানব জাতির কল্যাণ ও হেদায়েতের জন্য অবতীর্ণ করেছেন মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। অবারিত দরূদ ও সালাম বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর, যিনি ইলমে দ্বীনের মাধ্যমে মনুষ্যত্ব বিবর্জিত, আদর্শ বিচ্যুত, হতাশায় নিমজ্জিত উশৃঙ্খল এক মানব গোষ্টিকে পরিণত করেছিলেন স্বর্ণ মানবে, উপহার দিয়েছেলেন একটি আদর্শ জাতি, সমাজ ও রাষ্ট্র।
কওমী মাদরাসার ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন। এর ক্রমবিকাশের ধারা সুদীর্ঘ। যার সূচনা মসজিদে নববীর আস-সুফফাহ থেকে শুরু হয়ে তার স্বগতিতে সুচারুভাবে, যুগ-যুগান্তর ও দিক-দিগন্তে প্রচারিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতিকে রাসূল ও সাহাবায়ে কেরামের আদর্শে আদর্শবান করার গভীর বাসনা নিয়ে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুলাই দেশ বরেণ্য ও যুগ সচেতন ওলামায়ে কেরামের দিক নির্দেশনা ও সুপরামর্শে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে বৃহত্তর উত্তরার ১০ নং সেক্টরে “মারকাযুল ফিকহিল ইসলামী” নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি ইসলামী গবেষণামূলক আদর্শ ও আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
দেশের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ বর্তমান সামাজিক অস্থিরতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ধর্মীয় শিক্ষার অভাবকে। আজ সন্তান পিতামাতার অবাধ্য। নীতি-নৈতিকতার চরম বিপর্যয়ে তামাম পৃথিবী অশান্ত। অভিভাবকগণ তাঁদের কলিজার টুকরা সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত। যারা সন্তানদের সোনালী ভবিষ্যত বির্নিমানের আশায় খুঁজছে সঠিক পথ। অভিভাবকগণকে সেই সঠিক পথের সন্ধান দিতে এবং নীতি-নৈতিকতার অনিবার্য পতন ঠেকানোর প্রচেষ্টায় “মারকাযুল ফিকহিল ইসলামী” শিক্ষার ক্ষেত্রে গ্রহণ করেছে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সেদিকে দৃষ্টি রেখে শিশুর মেধা ও মননের যথার্থ বিকাশের উদ্দেশ্যে একটি মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রত্যয় নিয়ে যুগসচেতন দেশবরেণ্য উলামায়ে কেরামের দিক-নির্দেশনা ও সুপরামর্শে রাব্বে কারীমের সন্তুষ্টি হাসিলের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই প্রতিষ্ঠান।
উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান পদ্ধতি অত্যন্ত সুন্দর ও সূচারু হওয়ার ফলে পৃথকভাবে কোনো গৃহ শিক্ষকের প্রয়োজন হয় না । এর শিক্ষাকার্যক্রমে শিশুদের সুষ্ঠু মানসিকতা বিকাশে দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা পূরণের প্রয়াস রয়েছে। যাতে করে একটি শিশু আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
সন্তান আল্লাহ প্রদত্ত এক বড় নিআমত। সন্তানের জীবন সুন্নতে নববীর নকশায় গড়ে না তুললে মাওলায়ে কারীমের দরবারে জবাবদিহি করতে হবে। পরম করুনাময় আল্লাহ তাআলার মেহেরবানীতে এ প্রতিষ্ঠানের সকলে তাঁদের মেধা, অধ্যবসায়, নিষ্ঠা ও নীতিবোধ সবকিছু দিয়ে সকলের প্রত্যাশা পূরণের প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে ।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে তাঁর নির্দেশিত এবং তাঁর রাসূলের প্রদর্শিত পথে চলার এবং দু'জাহানের কামিয়াবী দান করুন। আমীন