মারকাযের ভবিষ্যত কর্মসূচী
১। নূরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ কোর্স
ফারেগীন ছাত্রদেরকে যোগ্য ক্বারী ও মুয়াল্লিমগণের দ্বারা নূরানী মুয়াল্লিম প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে নূরানী মক্তব বিভাগের যোগ্য শিক্ষক হিসাবে গড়ে তোলা যাতে তারা সমগ্র বাংলাদেশে নূরানী পদ্ধতিতে সহীহ শুদ্ধভাবে কুরআনুল কারীম ও প্রয়োজনীয় মাসআলা-মাসায়েল শিক্ষা দিতে পারেন।
২। উচ্চতর তাফসীর বিভাগ
এ বিভাগে তাকমীল ফারেগীন ছাত্রদের মধ্যে যারা তাফসীরুল কুরআন বিষয়ে গবেষণামূলক পড়াশোনা করতে চায় তাদের জন্য সুব্যবস্থা থাকবে।
৩। উন্মুক্ত পাঠাগার
মারকাযের ছাত্রদের নিজস্ব পাঠাগার ছাড়াও জনসাধারণের ইসলামী জ্ঞানার্জনের লক্ষে ইসলামী তথ্য সমৃদ্ধ নির্ভরযোগ্য বই সংগ্রহ করে উন্মুক্ত পাঠাগারের ব্যবস্থা করা হবে। ইনশা-আল্লাহ
৪। মহিলা মাদরাসা
মারকাযের অন্যতম লক্ষ হল মারকাযের বালিকা শাখা তথা মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে সম্পূর্ণ শরয়ী পর্দার সাথে মেয়েদেরকে যোগ্যকারীয়া, হাফেজা, আলেমা (হস্ত শিল্প, খাদ্য রান্না, পর্দানশীল আল্লাহ ওয়ালা হিসাবে গড়ে তোলা)।
৫। হুফফাজ প্রশিক্ষণ কোর্সের ব্যবস্থা করা
যোগ্যকারী ও হাফেজগণের দ্বারা বিশুদ্ধ ও গুণগত মানসম্পন্ন তিলাওয়াত শিখানো এবং তা সর্বময় বিস্তারের লক্ষ্যে মানসম্পন্ন যোগ্য শিক্ষক হিসাবে গড়ে তোলা ।
৬। শিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স (কিতাব বিভাগের জন্য)
অনেক ছাত্র মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও পাঠদানের সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকার কারণে তার পাঠদান ছাত্ররা বুঝতে পারে না। এ ধরণের ছাত্রদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষক হিসাবে গড়ে তোলা ।
৭। প্রকাশনা বিভাগ
উক্ত বিভাগে মানুষের দ্বীনি প্রয়োজন পূরণ এবং ইসলামের সহীহ জ্ঞান পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় বই-পুস্তক রচনা এবং মারকাযের মুখপত্র হিসাবে মাসিক “আল আখতার ” নামক পত্রিকা প্রকাশ করা। উক্ত পত্রিকায় কুরআন ও হাদীসের আলোকে প্রশ্নোত্তর আকারে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রভূত সমস্যার সঠিক সমাধান দেওয়া। পাশাপাশি তা সর্বসাধারণের নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য মাদরসার নিজস্ব ওয়েবসাইট ও ফেসবুকে প্রকাশ করা ।
৮। ঢাকাসহ সমগ্র বাংলাদেশে নূরানী মক্তব প্রতিষ্ঠা : (রূপরেখা)
মাদরাসা এবং স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ও সমাজের অবহেলিত নিরক্ষর, গরিব, অসহায়, নেশাগ্রস্থ ও বিপদগামী যুবকদেরকে সুন্নাহভিত্তিক জীবন-যাপন, হালাল পদ্ধতিতে জীবিকা নির্বাহ, সমাজের বেকারত্ব দূরীকরণ এবং দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে তারা কর্মজীবি হওয়ার পাশাপাশি দ্বীনের পরিপূর্ণ অনুসারী হয়ে যাবে।
ক. মারকাযুল কুরআন একাডেমী :
স্কুলের ন্যায় জেনারেল বিষয়ে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানসহ সহীহ শুদ্ধভাবে কুরআন এবং ফরজে আইন পরিমাণ জরুরী মাসআলা-মাসায়েল শিক্ষাদান।
পাঠদান কাল : বাদ ফজর হতে রাত ৯.৩০ মিনিট পর্যন্ত ।
খ. মারকাযুল কুরআন উন্মুক্ত একাডেমী :
স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী, বয়স্ক নারী, পুরুষ, যুবক-যুবতী, কর্মজীবি ও কৃষক সকল শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গের জন্য উন্মুক্ত। যাতে করে কুরআনুল কারীমের বিশুদ্ধ তিলাওয়াতসহ ফরজে আইন পরিমাণ ইলমে দ্বীন অর্জন ও আমলী প্রশিক্ষণ প্রদান করা যায়।
পাঠদান কাল : বাদ ফজর হতে রাত ১০ টা পর্যন্ত। ব্যাচ ভিত্তিক সর্বোচ্চ ১.৩০মি. পড়ানো হবে। যাতে করে স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী এবং সকল পেশা ও কর্মজীবি ব্যক্তিবর্গ পাঠচক্রে অংশগ্রহণ করতে পারে।
ছাত্র-ছাত্রী এবং বয়স্কদের অবশ্যই আলাদা ব্যাচে পড়ানো হবে।
৯ । হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা
মারকাযের নিজস্ব হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে আলেম-উলামা-তুলাবা এবং সাধারণ জনগণ স্বল্প খরচে মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
১০। লাশ ধোয়া ও কাফন-দাফন ব্যবস্থা
যেহেতু আমাদের দেশের সিংহভাগ মুসলমানের লাশ ধোয়া কাফন-দাফনের সুন্নত তরীকা জানা নেই এবং একাজে খুবই অদক্ষ, তাই সমাজের সকল শ্রেণির নারী-পুরুষের শেষ যাত্রা যেন সুন্নত তরীকায় সঠিক মাসআলা অনুযায়ী হয় এর নিমিত্তে আমাদের এই মহা পরিকল্পনা। যা সম্পূর্ণ ফ্রি সেবা। একাজে মারকাযের প্রয়োজন নিজস্ব ভূমি, নিজস্ব ভবন, কমপক্ষে দুটি এম্বুলেন্স ।
(সদকায়ে জারিয়ার এই মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরামর্শ ও আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে আপনিও হতে পারেন দুনিয়া ও আখেরাতের সফলকামী ব্যক্তি)